অনুবাদ পাতা
দুটো অনুবাদ
|| আমি হাঁটছি আমার রাস্তায় ||
আমি হাসছি , হাসাচ্ছি
তার মানে এইটা নয় আমি কাঁদতে শিখিনি ।
কত ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে
সংঘর্ষ করে আমি বাঁচতে শিখেছি
তার মানে এই নয় যে আমার জীবনে দুঃখ নেই ।
জীবনে অনেকবার ঝাড়ের মুখ মুখি হয়েছি
নাড়িয়ে ও গেছে
তার মানে এইটা নয় যে
আমি কখনোই ভেঙে পড়িনি l
চোখের জলের বন্যায় কখন ডুবেছি
তো কখন আবার ভেসেছি
তার মানে এটা নয় যে আমি সাঁতার ভুলে গেছি l
বারবার দগ্ধিভুত হয়েছি
কখন খিদায়
কখন আশায়
কখন স্বপ্নে
কখন হতাশায়
তার মানে এইটা নয় যে আমি ছাই হয়ে গেছি ।
এ টাই জীবনের চলা পথ
আমি হাঁটছি আমার রাস্তায়
হোঁচট খাচ্ছি পড়ে যাচ্ছি উঠছি
তবুও সামনে এগিয়ে যাওয়ার
প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখছি ।
সময়ের সঙ্গে তাল রেখে
সামনে ছুটছি
এইভাবে ছুটতে থাকবো
যতদিন আমি বেঁচে আছি ।
|| প্রকৃতি ও কবিতা ||
আমার কবিতা টিপ টিপ বৃষ্টিতে ভিজে
সদ্য স্নাত ঝিঙে পাতার সঙ্গে
চুপিসারে কথা বলে
হাওয়ার মুখে ভরে দায় ভারী সংলাপ
কাজল চোখে দেখতে থাকে
মেঘলা আকাশ ।
নদীর ভেতরে হারিয়ে দেয় তার
জঞ্জাল ঘেরা মন,
সমুদ্রকে দেখে মনে পড়ে পীড়িত জীবন
বৃদ্ধ বটগাছের ছায়ায়
ছেড়ে দেয় কামনা বসনা
সাযে তথাগত বুদ্ধ ।
আশ্রাহীন লতার মতন জড়িয়ে ধরে
আমার কলম
কখন ফুলের মতন মৃদু হাসে
ভ্রমরের চুম্বনে লজ্জা পায়
ঠিক লজ্জাবতী কন্যার মতন
কখন আবার ফণা তোলা নাগফনী
আকাশের শূন্যতায়
হারিয়ে যায় কিছু দীর্ঘশ্বাস ।
মাটির মতন সয়ে যায় আমার কবিতা
সর্বংসহা হওয়ার ইচ্ছায়,
পাতার মতন বিবর্তন মাপতে থাকে
জীবন আয়ুষ l
পাখির মতন উড়তে থাকে আমার কবিতা
ভেঙ্গে দিয়ে পরাধীন শিকল
নক্ষত্রগুলো সঙ্গে গল্পে
মেতে উঠে মন ।
তার জীবনে উঠে চাঁদ
উঠে জোয়ার
প্রকৃতি আমার কবিতাকে
সাজিয়ে দিতে থাকে ।
হে প্রকৃতি ! তুমি ত প্রেরণা
আমার কবিতাকে
তোমার সৌন্দর্যে
পরিপূর্ণ কর ।
*** মূল ওডিআ : প্রভাত কুমার আচার্য্য
অনুবাদ : বরুণ কুমার দাস
০০ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রভাত কুমার আচার্য একজন প্রথিতযশা কবি ও সাহিত্যিক । প্রভাত বাবুর জন্ম ভোগরাই বালেশ্বরে ,কর্মসূত্রে ময়ূরভঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ । অনেকগুলি গ্রন্থ প্রকাশিত l ‘সূর্যোদয়’ , ‘জীবন বজার’, ও ‘সকালর অর্ঘ্য’ প্রমুখ প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ । গত বছর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘আস থরে বুলি জিবা’ থেকে দুটি কবিতা নিয়ে অনুবাদ করা হয়েছে কবির অনুমতিক্রমে ।
O বরুণ কুমার দাস একাধারে 'শ্রেয়সী' অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক , প্রাবন্ধিক, ব্লগার , বহুভাষী কবি ও অনুবাদক l
ll আঁধার ll
মূল ওড়িআ : অভয় দাস
অনুবাদ বরুণ কুমার দাস
অনেকবারই ভেবেছি
অন্ধকারকে সঙ্গে নিয়ে
আর কিছুকাল ছুটতে থাকবো
অতল অন্ধকারে ,
আর কখনো জিজ্ঞেস করবো না
মুখ না থাকা মন্দিরের ঠিকানা ;
বাস্নায়িত চন্দন ধুপ ধুনার মোহে
আর কখনো জড়িয়ে পড়বো না :
মকর রাশির মেয়ের কাছ থেকে
প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসা
কিছু মিথ্যে প্রতিশ্রুতিকে
আর মূলধন করে রেখে দেব না l
ব্যস !
শেষ না হওয়া রাস্তার মাঝামাঝিতে
যখম হয়ে থাকা মনের
হত্যাকারীকে আমি কখনো খুঁজব না ;
উধার নিয়ে থাকা আততায়ী দেরও
কখনোই করবো না তিরস্কার l
এইবার -
কেউ যেন খুঁজে না আমায় l
অন্ধকারকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি
রাখার জন্য
আমি হতে চাই শূন্যাশ্রয়ী
আঁধারের দুই ডানাকে আশ্রা করে
আর কিছুকাল করতে চাই শূন্যে সন্তরণ ;
জীবনকে আঁকড়ে রাখা প্রহরীদের
শেষবারের মতন জানাতে চাই
আমার বিনম্র নমস্কার ।
OO অভয় দাস খুব পরিচিত একজন লেখক, থাকেন বালেশ্বরে l আচ্ছে নিজস্ব তিনটে প্রকাশনী সংস্থা সঙ্গে খুব উন্নত রুচিসম্পন্ন সাহিত্য বইয়ের ভান্ডার 'বহিঘর' l নিয়মিত সাহিত্য চর্চায় মগ্ন , বিভিন্ন সাহিত্য অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে উৎসাহী এবং পৃষ্ঠপোষক l এই কবিতাটি বালেশ্বর থেকে প্রকাশিত পরিচিত পত্রিকা 'রেবতী'তে প্রকাশিত হয়েছিল l কবির মত নিয়ে এই অনুবাদ আপনার পাতে l
| চলে যাওয়ার পর ||
আমর ঘর থেকে আমাকে আলাদা করার পর
কোথায় অবশ্যই একটা যায়গা রেখে থাকবে
নিশ্চিত তোমরা আমার নামে l
যেখানে আমি আবার খড়কুটা নিয়ে
অপূর্ণ আশাগুলো গুছিয়ে
ঘর একখানা তৈরি করবো l
হে ঈশ্বর !
শৈশবের সুখ মেটানোর জন্য
সেখানে রেখেছ বুঝি
সরল, নিরীহ সঙ্গী
ঘন সবুজ মাঠ রাখালের গান
আঁকা বাঁকা নদী, কাশ ফুল
খেলার মাঠ, স্নেহ ও আদর ?
অপরিচিত ডাকপিঅন
চিঠি দিয়ে যাবে ত আমর নতুন ঠিকানা খুঁজে ?
সকাল সন্ধ্যায় চা পানের কথা
নতুন পরিবার জানবে বা কি করে ?
এই শরীর থেকে নিশ্বাস ত্যাগ করার পর
আমি ত আঁধারের ছাই
এই আছি এই নেই
কেমন করে বা ফিরবো পুরোন আস্তানে ?
কেমন করে বা দেখবো
আমর অবর্তমানে ঝরে পড়া
চোখের জলের মূল্য কত ?
সত্যি কত, মিথ্যে কত ?
আমর পরিবারের জঞ্জাল কত ?
আমর সঞ্চিত সম্পতির ভাগবোটোরা কত ?
টুকরো কাগজের মতো
উড়তে থাকবে
আমর অর্ধেক স্বপ্নগুলো,
সৈকতে মাথা ঠুকতে থাকবে
আমর সব আশা ও কল্পনা
আমি কিন্তু নিরুপায় !
ওদের হাতে কাঠের পুতুল l
আবার শুরু করব কসরত
নতুন ঘর তোলার
সেই থেকে মুক্তি বা কোই যে ?
শুধু এইটুকু কষ্ট
ঈশ্বরের প্রতিষ্ঠা করা নিয়ে l
*** মূল ওড়িআ : প্রভাত কুমার আচার্য্য
অনুবাদ : বরুণ কুমার দাস
*বেলারুশ ভাষার কবিতা*
কবি : মাকসিম তাঙ্ক
কবি পরিচিতি
(আসল নাম জাথিয়েন স্কুরকো। রুশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত বেলারুশের একটি গ্রামে জন্ম ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে। সাংবাদিক,সম্পাদক, লেখক, অনুবাদক, দার্শনিক ও জাতীয় কবি। বেলারুশের সবচেয়ে বিখ্যাত কবিদের অন্যতম। কবির মৃত্যু ১৯৯৫-এ।)
কবিতা : * * * * *
গাছ মরে
যখন সে জানতে পারে না
ঋতুগুলোয়
আর কোনো প্রতিধ্বনিও করে না।
জল মরে যখন সে ভুলে যায়
কোন্ পথে বইতে হবে
আর দূর করতে পারে না তৃষ্ণা।
মৃত্তিকা মরে যখন সে আর
কোনো ফসলই ফলাতে পারে না
আর পারে না
আলোর কাছে নবতর
গান আনতে।
মানুষ মরে যখন চমৎকার উপহারখানি
তার হারায় আর জীবনকে উদ্দীপিত করে না।
অনুবাদ:স্বপনকুমার পাহাড়ী
*ভারতীয় ইংরেজি কবিতা*
নভেম্বরে
কবি: রবিন সিং নগ্যাঙ্গম্
কবি পরিচিতি ও মূল ইংরেজি থেকে অনুবাদ:
স্বপনকুমার পাহাড়ী
(জন্ম: ১৯৫৯-এ মনিপুরের ইম্ফলে। শিলংয়ের নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন। পরে ওখানেই শিক্ষকতা। দ্বিভাষিক কবি। ইংরেজি ও মেইতেইলন ভাষায় লেখেন। কবিতার বই ওয়ার্ডস এ্যাণ্ড সাইলেন্স (১৯৯৮, প্রকাশক: রাইটার্স ওয়ার্কশপ), টাইম’স ক্রসরোডস (১৯৯৪) এবং দ্য ডিজায়ার অব রুটস (২০০৬)। তাঁর প্রবন্ধ পোয়েট্রি ইন আ টাইম অব টেরর প্রকাশিত হয়েছে ২০১৯-এ নিউ দিল্লির অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের সঙ্কলন অ্যান অ্যানথোলজি অব রাইটিংস অন টেররিজম ইন সাউথ এশিয়া-তে। ১৯৯৯-এ অনুবাদের জন্যে কথা পুরস্কার-এ ভূষিত হয়েছেন।)
ব্রোঞ্জের গাছগুলো মায়াময়।
পাহাড়গুলো শুষে নিয়েছে
শীতের আকাশ আর দিবালোক উড্ডিন
যেন বৃক্ষপত্র থেকে অলৌকিক।
আমাদের সবারই এই সাত কুটিরের দেশের জন্যে
কোমল জায়গা রয়েছে
আ্যর জীবন যেহেতু সামান্য হয়ে গেছে
তাই বিচ্ছেদ এত আসন্ন
কত বছর ধ’রে আমরা
ঠোঁট রেখেছি ওর চেরী মদে
কত শীত আর বর্ষার বছর
নিঃস্ব করেছে এই সাত কুটিরের পাহাড়গুলোয়
কয়েকটা বছর একজন মানুষকে
আচ্ছন্ন করতে পারে এই দেশের।
কিন্তু মৃত্যু আসবে কোথাও যাওয়ার জন্যে।
এভাবে অপরিচিত দেশে বার্ধক্যে
ভাববো আমরা সাত কুটিরের
শীত আর বৃষ্টির কথা।
মূল উর্দু থেকে অনুবাদ:
গুলজারের কবিতা--১২
গলিতে
স্বপনকুমার পাহাড়ী
বৃষ্টি হ'লে তো জলেরও গজিয়ে ওঠে পা
কঠিন দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে কাটায় গলিতে
আর উছলে ওঠে ছলাৎ ক'রে
ম্যাচে জেতা ছেলেদের মতো
ম্যাচ জিতে আসে যখন গলির ছেলেরা কেডস্ পায়ে
লাফিয়ে ওঠা বলগুলোর মতো
কঠিন দেয়ালে ধাক্কা দিয়ে কাটায়
ওই যেমন জলের ছলাৎ
ভারতীয় ইংরেজি কবিতা:
আত্মপ্রতিকৃতি
এ.কে.রামানুজন
কবি পরিচিতি ও
মূল ইংরেজি থেকে অনুবাদ: স্বপনকুমার পাহাড়ী
(কবির জন্ম ১৯২৯-এ মহীশূরে। ইণ্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্বের প্রফেসর ছিলেন। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণার ব্যাপ্তি ছিল ৫টি ভাষায়। লোকাচারবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী এই পণ্ডিত কবি, নাট্যকার এবং অনুবাদকও বটে। তাঁর হেঁয়ালির মতো কবিতাগুলি চমকপ্রদ মৌলিকত্বের জন্য স্মরণীয়।
উল্লেখযোগ্য বই: দ্য স্ট্রাইডারস, সেকেণ্ড সাইট, ইত্যাদি। ম্যাকআর্থার ফেলোশিপ এবং পদ্মশ্রী ছাড়াও
মরণোত্তর সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন তাঁর ‘দ্য কালেকটেড পোয়েমস’ কাব্যগ্রন্থের জন্য। কবির মৃত্যু শিকাগোয় ১৯৯৩-এ।)
আমি যেকোন জনের মতোই দেখতে
কেবল নিজের সত্তা ছাড়া আর মাঝে মাঝেই
দোকানের জানালায় দেখি
আলোকবিদ্যার সুপরিচিত সূত্রাবলী সত্ত্বেও
এক অপরিচিত জনের প্রতিকৃতি
তারিখ জানা নেই
প্রায়শ এক কোণে
বাবার স্বাক্ষর
№###################***
№#######"""
##############"""""""
বরেণ্য কবি জয়ন্ত মহাপাত্রের কয়েকটি কবিতার অনুবাদ আর এক বার....
/ Sanskrit //Written by : jayanta Mahapatra .অনুবাদক : মনোজিৎ দাস।।
জাগিয়ে তোল তাদের,
যারা দরজার হ্যান্ডেলে টোকা দিচ্ছে।
গ্রীষ্ম প্রধান দেশে সমুদ্রের
জেলিফিশের মত ,
চাপ দিলে ভেঙ্গে গলে যায়।
ঘুমন্ত অবস্থায় হাত দিয়ে
ছিঁড়তে থাকা দৈববাণী ।।
খুব শক্ত শোনায় -
কৃপণ পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে
পৃষ্ঠা গুলো,
গাছের লাইনের কান্ড থেকে গন্ধ বের হয় বছরের পর বছর
শাখা গুলো মসৃণ ও মৃত।
যদিও আকাঙ্খা গুলো ভান করে আকাশে।
কিন্তু হারিয়ে যাওয়া ছোঁয়া গুলো তাদের মধ্যে স্থায়ী হয়।।
যদিও বেনারসের ঘাটে,
যেখানে প্রাণহীন দেহগুলো
ভেসে উঠেছে মানুষের মত
এলোমেলো মাথা
ভাসতে থাকে ফুলের কুঁড়ি যত্র তত্র।
জপের মালাগুলো নাচতে থাকে বৃষ্টির ধারায়,
পালকের নিঃশব্দ শব্দের মত গ্রীষ্মকাল স্বরণ করে দেয়,
তাদের অক্ষরগুলো মগ্ন করে
নিঃশব্দে।
এগুলো না শুনে পালিয়ে যেতে পারবে না এখন।
এক রহস্যজনক স্বর্গীয় পথ
রক্ষিত করে, প্রভাবিত করে সমস্বরে, স্পন্দিত হয় বটগাছে।
মুচির তৈরি খড়মের শব্দের ধ্বনি তোলে,
অনিশ্চিত মন্ত্রের বুলি কম্পিত হতে থাকে দুঃখের কুয়াশায়।।
## Traveler##
Written by Jayanta Mahapatra.
অনুবাদক: মনোজিৎ দাস।
প্রতিদিন সন্ধ্যায়
মন্দিরের ঘণ্টা বাজানোর শেষে তার ভারী মেরুদণ্ড বিশ্রাম নেয়।
সময় যথারীতি বিস্মৃতি হয়
আমি শিক্ষা নেই,কি করবো।।
এক গরম বাতাস উত্থিত হয়
অন্ধকার ধরিত্রী থেকে
আশা জাগানোর মত।
একটা ঘরের পাশে -
এক মৃতপ্রায় কন্যা তার মায়ের বাহুতে।।
অন্যত্র একজন,
নিজের প্রতি প্রতিশোধ নেয় তার ভগ্ন জীবনের জন্য
নিজের সামান্য দুর্দশা দেখি
মানুষের মধ্যদিয়ে -
তার পরেও জুঁই ফুলের মিষ্টি ও বিমর্ষ গন্ধ পাই।।
প্রতিটি মুহূর্তের একটা উদ্দেশ্য থাকে:
এটা শীতল ও ক্লান্তিকর নয়
গভীর ভাবে তাড়া করে,
নতুন করে বৃদ্ধি পায় ঘাস
আকাশ বিদীর্ণ করে ড্রামের শব্দে,মেয়েটি হাঁটু গেড়ে বসে তার বক্ষে।
বাতাস প্রতারণা করে নিজেকে -
যা বহন করে মেয়েটির চিৎকার,
যে মরতে চলেছে মায়ের কোলে।।
আমার সময় ও জ্ঞান
শান্ত করে রাতে
যতক্ষণ না পাখীর ঝাপটা আসে।
আমি চেষ্টা করি ভার গুলোকে জড়িয়ে ধরতে,
কিন্তু অজানা ভারগুলো
আমাকে প্রোথিত করে।।