শ্রেয়সী  ( February ,2025 )
                         ISSN -2581-4079

                                      শ্রেয়সী  ( February ,2025 )
                         ISSN -2581-4079

এই খানে ক্লিক করুন

অনুবাদ পাতা

*বেলারুশ ভাষার কবিতা*


কবি : মাকসিম তাঙ্ক

কবি পরিচিতি 

(আসল নাম জাথিয়েন স্কুরকো। রুশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত বেলারুশের একটি গ্রামে জন্ম ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে। সাংবাদিক,সম্পাদক, লেখক, অনুবাদক, দার্শনিক ও জাতীয় কবি। বেলারুশের সবচেয়ে বিখ্যাত কবিদের অন্যতম। কবির মৃত্যু ১৯৯৫-এ।)

কবিতা : * * * * *


গাছ মরে

যখন সে জানতে পারে না

ঋতুগুলোয়

আর কোনো প্রতিধ্বনিও করে না।

জল মরে যখন সে ভুলে যায়

কোন্ পথে বইতে হবে

আর দূর করতে পারে না তৃষ্ণা।

মৃত্তিকা মরে যখন সে আর

কোনো ফসলই ফলাতে পারে না

আর পারে না

আলোর কাছে নবতর

গান আনতে।

মানুষ মরে যখন চমৎকার উপহারখানি

তার হারায় আর জীবনকে উদ্দীপিত করে না।


অনুবাদ:স্বপনকুমার পাহাড়ী

*ভারতীয় ইংরেজি কবিতা*


নভেম্বরে

কবি: রবিন সিং নগ্যাঙ্গম্

কবি পরিচিতি ও মূল ইংরেজি থেকে অনুবাদ:

স্বপনকুমার পাহাড়ী

(জন্ম: ১৯৫৯-এ মনিপুরের ইম্ফলে। শিলংয়ের নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন। পরে ওখানেই শিক্ষকতা। দ্বিভাষিক কবি। ইংরেজি ও মেইতেইলন ভাষায় লেখেন। কবিতার বই ওয়ার্ডস এ্যাণ্ড সাইলেন্স (১৯৯৮, প্রকাশক: রাইটার্স ওয়ার্কশপ), টাইম’স ক্রসরোডস (১৯৯৪) এবং দ্য ডিজায়ার অব রুটস (২০০৬)। তাঁর প্রবন্ধ পোয়েট্রি ইন আ টাইম অব টেরর প্রকাশিত হয়েছে ২০১৯-এ নিউ দিল্লির অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের সঙ্কলন অ্যান অ্যানথোলজি অব রাইটিংস অন টেররিজম ইন সাউথ এশিয়া-তে। ১৯৯৯-এ অনুবাদের জন্যে কথা পুরস্কার-এ ভূষিত হয়েছেন।)

ব্রোঞ্জের গাছগুলো মায়াময়।

পাহাড়গুলো শুষে নিয়েছে

শীতের আকাশ আর দিবালোক উড্ডিন

যেন বৃক্ষপত্র থেকে অলৌকিক।

আমাদের সবারই এই সাত কুটিরের দেশের জন্যে

কোমল জায়গা রয়েছে

আ্যর জীবন যেহেতু সামান্য হয়ে গেছে

তাই বিচ্ছেদ এত আসন্ন

কত বছর ধ’রে আমরা

ঠোঁট রেখেছি ওর চেরী মদে

কত শীত আর বর্ষার বছর

নিঃস্ব করেছে এই সাত কুটিরের পাহাড়গুলোয়

কয়েকটা বছর একজন মানুষকে

আচ্ছন্ন করতে পারে এই দেশের।

কিন্তু মৃত্যু আসবে কোথাও যাওয়ার জন্যে।

এভাবে অপরিচিত দেশে বার্ধক্যে

ভাববো আমরা সাত কুটিরের

শীত আর বৃষ্টির কথা।

মূল উর্দু থেকে অনুবাদ:

গুলজারের কবিতা--১২

গলিতে

স্বপনকুমার পাহাড়ী


বৃষ্টি হ'লে তো জলেরও গজিয়ে ওঠে পা

কঠিন দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে কাটায় গলিতে

আর উছলে ওঠে ছলাৎ ক'রে

ম্যাচে জেতা ছেলেদের মতো

ম্যাচ জিতে আসে যখন গলির ছেলেরা কেডস্ পায়ে

লাফিয়ে ওঠা বলগুলোর মতো

কঠিন দেয়ালে ধাক্কা দিয়ে কাটায়

ওই যেমন জলের ছলাৎ

14 Oct 2024

ভারতীয় ইংরেজি কবিতা:


আত্মপ্রতিকৃতি


এ.কে.রামানুজন


কবি পরিচিতি ও

মূল ইংরেজি থেকে অনুবাদ: স্বপনকুমার পাহাড়ী

(কবির জন্ম ১৯২৯-এ মহীশূরে। ইণ্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্বের প্রফেসর ছিলেন। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণার ব্যাপ্তি ছিল ৫টি ভাষায়। লোকাচারবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী এই পণ্ডিত কবি, নাট্যকার এবং অনুবাদকও বটে। তাঁর হেঁয়ালির মতো কবিতাগুলি চমকপ্রদ মৌলিকত্বের জন্য স্মরণীয়।

উল্লেখযোগ্য বই: দ্য স্ট্রাইডারস, সেকেণ্ড সাইট, ইত্যাদি। ম্যাকআর্থার ফেলোশিপ এবং পদ্মশ্রী ছাড়াও

মরণোত্তর সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন তাঁর ‘দ্য কালেকটেড পোয়েমস’ কাব্যগ্রন্থের জন্য। কবির মৃত্যু শিকাগোয় ১৯৯৩-এ।)


আমি যেকোন জনের মতোই দেখতে

কেবল নিজের সত্তা ছাড়া আর মাঝে মাঝেই

দোকানের জানালায় দেখি

আলোকবিদ্যার সুপরিচিত সূত্রাবলী সত্ত্বেও

এক অপরিচিত জনের প্রতিকৃতি

তারিখ জানা নেই

প্রায়শ এক কোণে

বাবার স্বাক্ষর

№###################***

№#######"""

##############"""""""

বরেণ্য কবি জয়ন্ত মহাপাত্রের কয়েকটি কবিতার অনুবাদ আর এক বার....

14 Oct 2024
জয়ন্ত মহাপাত্রের কয়েকটি বই

জয়ন্ত মহাপাত্রের কয়েকটি বই

14 Oct 2024
14 Oct 2024

/ Sanskrit //Written by : jayanta Mahapatra .অনুবাদক : মনোজিৎ দাস।।


জাগিয়ে তোল তাদের,

যারা দরজার হ্যান্ডেলে টোকা দিচ্ছে।

গ্রীষ্ম প্রধান দেশে সমুদ্রের 

জেলিফিশের মত ,

চাপ দিলে ভেঙ্গে গলে যায়।

ঘুমন্ত অবস্থায় হাত দিয়ে 

ছিঁড়তে থাকা দৈববাণী ।।

খুব শক্ত শোনায় - 

কৃপণ পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে

পৃষ্ঠা গুলো,

গাছের লাইনের কান্ড থেকে গন্ধ বের হয় বছরের পর বছর

শাখা গুলো মসৃণ ও মৃত।

যদিও আকাঙ্খা গুলো ভান করে আকাশে।

কিন্তু হারিয়ে যাওয়া ছোঁয়া গুলো তাদের মধ্যে স্থায়ী হয়।।

 


যদিও বেনারসের ঘাটে,

যেখানে প্রাণহীন দেহগুলো 

ভেসে উঠেছে মানুষের মত

এলোমেলো মাথা

ভাসতে থাকে ফুলের কুঁড়ি যত্র তত্র। 

জপের মালাগুলো নাচতে থাকে বৃষ্টির ধারায়,

পালকের নিঃশব্দ শব্দের মত গ্রীষ্মকাল স্বরণ করে দেয়,

তাদের অক্ষরগুলো মগ্ন করে

নিঃশব্দে।

এগুলো না শুনে পালিয়ে যেতে পারবে না এখন।

এক রহস্যজনক স্বর্গীয় পথ

রক্ষিত করে, প্রভাবিত করে সমস্বরে, স্পন্দিত হয় বটগাছে।

মুচির তৈরি খড়মের শব্দের ধ্বনি তোলে,

অনিশ্চিত মন্ত্রের বুলি কম্পিত হতে থাকে দুঃখের কুয়াশায়।।

## Traveler##


Written by Jayanta Mahapatra.

অনুবাদক: মনোজিৎ দাস।


প্রতিদিন সন্ধ্যায়

মন্দিরের ঘণ্টা বাজানোর শেষে তার ভারী মেরুদণ্ড বিশ্রাম নেয়।

সময় যথারীতি বিস্মৃতি হয়

আমি শিক্ষা নেই,কি করবো।।


এক গরম বাতাস উত্থিত হয়

অন্ধকার ধরিত্রী থেকে

আশা জাগানোর মত।

একটা ঘরের পাশে - 

এক মৃতপ্রায় কন্যা তার মায়ের বাহুতে।।


অন্যত্র একজন,

নিজের প্রতি প্রতিশোধ নেয় তার ভগ্ন জীবনের জন্য

নিজের সামান্য দুর্দশা দেখি

মানুষের মধ্যদিয়ে - 

তার পরেও জুঁই ফুলের মিষ্টি ও বিমর্ষ গন্ধ পাই।।


প্রতিটি মুহূর্তের একটা উদ্দেশ্য থাকে:

এটা শীতল ও ক্লান্তিকর নয়

গভীর ভাবে তাড়া করে,

নতুন করে বৃদ্ধি পায় ঘাস

আকাশ বিদীর্ণ করে ড্রামের শব্দে,মেয়েটি হাঁটু গেড়ে বসে তার বক্ষে।

বাতাস প্রতারণা করে নিজেকে - 

যা বহন করে মেয়েটির চিৎকার,

যে মরতে চলেছে মায়ের কোলে।।


আমার সময় ও জ্ঞান

শান্ত করে রাতে

যতক্ষণ না পাখীর ঝাপটা আসে।

আমি চেষ্টা করি ভার গুলোকে জড়িয়ে ধরতে,

কিন্তু অজানা ভারগুলো 

আমাকে প্রোথিত করে।।

The Moon Moments##

Written by Jayanta Mahapatra.
অনুবাদক : মনোজিৎ দাস।

মূর্ছা ধরার মতো নক্ষত্রের আলো ঘুরপাক খায় অস্থিরভাবে মাদুরের উপর।
মেঘগুলো উড়েযায় বাইরের দিকে, মহিলাদের চোখের উপর দিয়ে।
চাঁদ আমাকে সবসময় কোথায় যেন নিয়ে যায়
একটা কক্ষ থেকে আর একটা কক্ষের দিকে।।

শুরুতেই আমাদের দাম্ভিক দরজাগুলো উপলব্ধি করে,
কিন্তু পূর্বে আমাদের মন কখনো উপলব্ধি করেনি।
দুঃখ পেয়ে বসে থাকি গাছের তলায় - 
বাতাস যেমন বয়ে যায় গাছের দোলায়।।

কি সেই নম্রতা যা আমার ইচ্ছা শক্তিতে
প্রকাশ পায় না?
কি লজ্জা জনক গোপনীয়তা লুকিয়ে থাকে চাঁদের ছায়ায়?


ঐ সব বছরগুলো আর চাহিদাগুলো আর আঘাত করে না।
আমি কি ভাবে থামাতে পারবো আমার এগিয়ে যাওয়া জীবনকে নিজের মধ্যে?
আমার কোলের কাছের আঙ্গুলগুলো
চমকে ওঠে কিছু প্রশ্নের
যদিও ভগবান পাশাপাশি অবস্থান করে,
চিৎকার করে - বিচ্যুত শহরের মধ্যরাতে।।

জয়ন্ত মহাপাত্রের কবিতার অনুবাদ

[: ## Of that love##
Written by Jayanta Mahapatra.
অনুবাদক : মনোজিৎ দাস।।

যে ভালবাসা,যে মাইল ফলক ধরে - 
একত্রে হেঁটেছি বর্ষায়
একমাত্র পরিশ্রান্ত অবস্থাটা রয়ে গেছে।।

আমি এখন সেই আগন্তুক
আমার আয়না আমাকে ধরে রেখেছে - 
নি:শব্দ মুহূর্তগুলোর
খুব কম অতিক্রম করে কাঁচের উপর,
ছদ্মবেশে নিজের প্রতি সহানুভূতি জাগে।।

এখানে কেউ ফিরে আসে না,না কেউ নয়।
আমার দিক থেকে
আমি এটাকে উপলদ্ধি করি - 
বছরের পর বছর ধরে আমি আর কিছুই দেখিনা।
অনেক বছর আগে তোমার সাথে বসে থাকা,
একাকীত্বের মেঘশুন্য আকাশটাকে লক্ষ্য করি
অপেক্ষায় থাকা তোমার শরীর সব কিছুতে মিশে আছে।।

 ## Sickes##
Writer Jayanta Mahapatra.
অনুবাদক : মনোজিৎ দাস।।

বাতাসের মধ্যে ধুলোগুলো 
এখন স্তিমিত।
বছর দশকের একটি মেয়ে ছুটে চলেছে তার বাড়ির গরুগুলোকে আনতে ।
সূর্যাস্তের পূর্বে আমরা পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাই,
কিছু সাড়া না দিয়ে সে দেখছে আমাদেরকে।।

দিনাবসানের শেষ আলো
আমাদের বিস্মিত করে।
সবাইকে ছেড়ে চলে যায় - 
অকস্মাৎ একটা সীমাহীন নির্জনতা বেলাভূমিতে,
ইচ্ছে করে এক টুকরো ভালোবাসা পেতে।
রোদ সোনা ফসল মাথায় নিয়ে মেয়েরা ঘরে ফিরে যায়
দূর্বল হাতে তাদের কাস্থে গুলো বহন করে,
পাকা ধান শক্ত করে বাঁধা উচ্চাসনে।।

আমি নিজেকে কতটাই বা উপলব্ধি করেছি - 
বন্যা আসার পূর্বে মেয়েরা আবার যারা মা হয়েছেন
ভেজা নল খাগড়া বনে তারা তাদের বাসনা পূরণ করে।
আমরা নির্বিকার যে সব ঘটনা ঘটে, যেগুলো তাদের অধিকার।।

সূর্য্য রশ্মির লাল আলোয় দাউলি গুলো চক চক করে ওঠে,তাদের শিরায় শিরায় রাঙিয়ে দিয়ে যায় গোধূলির রং।।

মানোজিত দাসের এক গুচ্ছ অনুবাদ

## Main Temple Street##
Jayanta Mahapatra 
  
মাটির মতো ধূসর রঙের বিকলাঙ্গ ছেলেমেয়েরা
অবলীলায় হাঁসছে 
রাস্তার উপর কুকুরদের যৌণ মিলনে - কেউ তাদের বিরক্ত করে না।
অপর দিকে মন্দিরের কাঁসর বাদ্যের ছন্দ অবিরল বেজে যায়।
চাঁদি ফাটা রোদ্দুর
আর ধূলি মাখা পথ
যত দূর দেখা যায়
অবিরাম বয়ে চলে
অস্পষ্ট হতে থাকে সারা পথ।
খট খটে রোদের আকাশে
তন্দ্রালু ভাব।
অলঙ্ঘনীয় কর্তৃত্ব 
ঝুলতে থাকে নীরবতার ক্রাচের উপর ভর করে।।
Page:1 - 2
X