শ্রেয়সী  ( August ,2025 )
                         ISSN -2581-4079

                                      শ্রেয়সী  ( August ,2025 )
                         ISSN -2581-4079

এই খানে ক্লিক করুন

অনুবাদ পাতা

The Moon Moments##

Written by Jayanta Mahapatra.
অনুবাদক : মনোজিৎ দাস।

মূর্ছা ধরার মতো নক্ষত্রের আলো ঘুরপাক খায় অস্থিরভাবে মাদুরের উপর।
মেঘগুলো উড়েযায় বাইরের দিকে, মহিলাদের চোখের উপর দিয়ে।
চাঁদ আমাকে সবসময় কোথায় যেন নিয়ে যায়
একটা কক্ষ থেকে আর একটা কক্ষের দিকে।।

শুরুতেই আমাদের দাম্ভিক দরজাগুলো উপলব্ধি করে,
কিন্তু পূর্বে আমাদের মন কখনো উপলব্ধি করেনি।
দুঃখ পেয়ে বসে থাকি গাছের তলায় - 
বাতাস যেমন বয়ে যায় গাছের দোলায়।।

কি সেই নম্রতা যা আমার ইচ্ছা শক্তিতে
প্রকাশ পায় না?
কি লজ্জা জনক গোপনীয়তা লুকিয়ে থাকে চাঁদের ছায়ায়?


ঐ সব বছরগুলো আর চাহিদাগুলো আর আঘাত করে না।
আমি কি ভাবে থামাতে পারবো আমার এগিয়ে যাওয়া জীবনকে নিজের মধ্যে?
আমার কোলের কাছের আঙ্গুলগুলো
চমকে ওঠে কিছু প্রশ্নের
যদিও ভগবান পাশাপাশি অবস্থান করে,
চিৎকার করে - বিচ্যুত শহরের মধ্যরাতে।।

জয়ন্ত মহাপাত্রের কবিতার অনুবাদ

[: ## Of that love##
Written by Jayanta Mahapatra.
অনুবাদক : মনোজিৎ দাস।।

যে ভালবাসা,যে মাইল ফলক ধরে - 
একত্রে হেঁটেছি বর্ষায়
একমাত্র পরিশ্রান্ত অবস্থাটা রয়ে গেছে।।

আমি এখন সেই আগন্তুক
আমার আয়না আমাকে ধরে রেখেছে - 
নি:শব্দ মুহূর্তগুলোর
খুব কম অতিক্রম করে কাঁচের উপর,
ছদ্মবেশে নিজের প্রতি সহানুভূতি জাগে।।

এখানে কেউ ফিরে আসে না,না কেউ নয়।
আমার দিক থেকে
আমি এটাকে উপলদ্ধি করি - 
বছরের পর বছর ধরে আমি আর কিছুই দেখিনা।
অনেক বছর আগে তোমার সাথে বসে থাকা,
একাকীত্বের মেঘশুন্য আকাশটাকে লক্ষ্য করি
অপেক্ষায় থাকা তোমার শরীর সব কিছুতে মিশে আছে।।

 ## Sickes##
Writer Jayanta Mahapatra.
অনুবাদক : মনোজিৎ দাস।।

বাতাসের মধ্যে ধুলোগুলো 
এখন স্তিমিত।
বছর দশকের একটি মেয়ে ছুটে চলেছে তার বাড়ির গরুগুলোকে আনতে ।
সূর্যাস্তের পূর্বে আমরা পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাই,
কিছু সাড়া না দিয়ে সে দেখছে আমাদেরকে।।

দিনাবসানের শেষ আলো
আমাদের বিস্মিত করে।
সবাইকে ছেড়ে চলে যায় - 
অকস্মাৎ একটা সীমাহীন নির্জনতা বেলাভূমিতে,
ইচ্ছে করে এক টুকরো ভালোবাসা পেতে।
রোদ সোনা ফসল মাথায় নিয়ে মেয়েরা ঘরে ফিরে যায়
দূর্বল হাতে তাদের কাস্থে গুলো বহন করে,
পাকা ধান শক্ত করে বাঁধা উচ্চাসনে।।

আমি নিজেকে কতটাই বা উপলব্ধি করেছি - 
বন্যা আসার পূর্বে মেয়েরা আবার যারা মা হয়েছেন
ভেজা নল খাগড়া বনে তারা তাদের বাসনা পূরণ করে।
আমরা নির্বিকার যে সব ঘটনা ঘটে, যেগুলো তাদের অধিকার।।

সূর্য্য রশ্মির লাল আলোয় দাউলি গুলো চক চক করে ওঠে,তাদের শিরায় শিরায় রাঙিয়ে দিয়ে যায় গোধূলির রং।।

মানোজিত দাসের এক গুচ্ছ অনুবাদ

## Main Temple Street##
Jayanta Mahapatra 
  
মাটির মতো ধূসর রঙের বিকলাঙ্গ ছেলেমেয়েরা
অবলীলায় হাঁসছে 
রাস্তার উপর কুকুরদের যৌণ মিলনে - কেউ তাদের বিরক্ত করে না।
অপর দিকে মন্দিরের কাঁসর বাদ্যের ছন্দ অবিরল বেজে যায়।
চাঁদি ফাটা রোদ্দুর
আর ধূলি মাখা পথ
যত দূর দেখা যায়
অবিরাম বয়ে চলে
অস্পষ্ট হতে থাকে সারা পথ।
খট খটে রোদের আকাশে
তন্দ্রালু ভাব।
অলঙ্ঘনীয় কর্তৃত্ব 
ঝুলতে থাকে নীরবতার ক্রাচের উপর ভর করে।।

## The India Way##
Jayanta Mahapatra.
 অনুবাদক : মানোজিত দাস।

এক জনের স্পর্শে যেন - 
বহু প্রত্যাশিতের পর
নি: শব্দে বৃষ্টি নামে
পাহাড়কে অতিক্রম করে
পার্থিব আত্মার অনুভূতি
রঞ্জিত গলার মধ্যে ঘুরপাক খায়।
আমরা শান্ত হই: আবার শব্দের সরগোল - 
আমি সকালের পদ্ম কিনব।
এক এক মুহুর্তে আমরা
ফিরে আসি,ফিরে যাই
আবার ফিরে যাওয়া আর না যাওয়া।
এই যাওয়া আসার দোলায়
আফসোস না করে থেমে যাওয়া।
তুমি জানো:
আমি স্পর্শ করবো না
যতক্ষণ না আমাদের বিয়ের রাত না আসে।।

## A Clear Midnight##
Walter Whiteman( An American Poet)

অনুবাদক: মনোজিত দাস।

এটাই তোমার সময় - 
তোমার আত্মা মুক্ত বিহঙ্গের মত নীরবে উড়ে চলে:
বইয়ের পাতা থেকে ,মানসিক চাপের থেকে, মুছে যাওয়া দিনের মত,যে শিক্ষা নিয়েছ,
তুমি সম্পূর্ন রূপে নিমর্জিত
নিঃশব্দে, স্থির দৃষ্টি এখন।
তোমার বিবেচনায় সব থেকে ভাল সময় - 
গভীর নি:শব্দ রাত, নক্ষত্র,ঘুম আর মৃত্যু।।

##The dead leaves##

Jacques Prevert ( A Franch Poet)


ওহে,শুনছো আমি তোমাকে ভীষণ স্মরণ করি
সেই সুখের দিনগুলো ,যেদিন আমরা বন্ধু ছিলাম
তখন জীবন ছিল এক অনাবিল আনন্দের।
সেই রোদ্র স্নাত দিনগুলো খুব মনে পড়ে -
মৃত ঝরা পাতাগুলো বেলচা দিয়ে জড়ো করি এখন।
তোমার মনে পড়ে,আমি কিন্তু কিছুই ভুলিনি -
অসংখ্য ঝরা পাতা জড়ো হয়
এখন স্মৃতি আপসোস করে
উত্তরের ঝোড়ো হাওয়া বয়ে নিয়ে যায় সব কিছুকে।
শীতার্থ রাতে ফেলে আসা অতীত জেগে রয়,
তোমার মনে পড়ে,আমি কিন্তু কিছুই ভুলিনী।
যে গান তুমি আমায় শুনিয়ে ছিলে,সে গান এখন বারে বারে নতুন করে মনে পড়ে।
সেই তুমি যে আমাকে ভালোবেসেছিলে 
সেই আমি যে তোমাকে ভালোবাসি,
কিন্তু জীবন দু 'জনের ভালোবাসাকে বিচ্ছিন্ন করেছে
খুব ধীরে, নিঃশব্দে -
বালুকাময় সমুদ্রের তট যেমন ধূয়ে দিয়ে যায়।
তবুও ভালোবাসার পদ চিহ্ন
বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি -
সে যে সমুদ্রের চেয়েও বিশাল গভীর।।

Hunger


Written by Jayanta Mahapatra.


অন্ধকারের কুঁড়ে ঘর খুলে যায়

যেন বেদনার আঘাতে।

অন্ধকারে মৃদু আলোর ছটা উদ্ভাসিত হয়

এক আগন্তুকের মত দমকা বাতাস,

ছড়িয়ে ছিটিয়ে। বুনো গাছের ডালপালা

ঘরের মধ্যে আকাশ উঁকি মারে।

দেওয়ালের সলতের ক্ষীণ আলো ছড়িয়ে পড়ে - 

কালো ঝুল চারিদিকে

আমার মনের অলিন্দে।


আমি তাকে অনুসরণ করেছিলাম

ছড়িয়ে থাকা বালুকা ভূমিতে

আমার বিহ্বলিত চিত্ত।

তার শরীরের ভাঁজ করা চামড়া ঘোর পাক খায়

নিস্তব্দতা আমার আস্তিনের ভেতর - 

তার শরীর যেন হামা গুড়ি দেয় দূর্বলতায়।তার পুরনো জাল গুলো সমুদ্রের জল থেকে অতি কষ্টে ওঠায়।


আমি তাকে বলতে শুনেছি:

ওই আমার পঞ্চদশী কন্যা

তাকে অনুভব কর -

শীঘ্রই ফিরব আমি

তোমার যান রাত নয়টায়।

আকাশ ভেঙে পড়ে, তোলপাড় হয় মন

এক পিতার পরিশ্রান্ত অবস্থা দেখে,

লম্বা ছিপ ছিপে দূর্বল মেয়েটি

ঠান্ডা রবারের মত মনে হয়

সে তার উষ্ণ পা ' দুখানি ছড়িয়ে দিল -

আমি অনুভব করলাম ক্ষুদা ও যৌবনের জ্বালা

( গণিকা বৃত্তির অসহায় এক বালিকা)

অন্য দিকে ধীরে ধীরে জাল টানা হচ্ছে বালুকা বেলায়।।

Dawn at Puri

By Jayanta Mahapatra

অগণিত কাকের কণ্ঠ স্বর
পবিত্র বালির রাশির উপর মাথার খুলি
কাত হয়ে পড়ে আছে ফাঁকা গহ্বরের মতো চরম ক্ষুধায়।

শুভ্র শাড়ি পরিহিত বিধবারা দাঁড়িয়ে আছে
যারা অতিক্রান্ত করেছে জীবনের শেষ পর্যায়ে
তারা অপেক্ষমান মহাপ্রভুর মন্দিরে প্রবেশ করার।

তাদের ফ্যাকাসে চোখগুলো
নির্বিকারভাবে তাকিয়ে আছে যারা, আবদ্ধ হয়েছে এক জালে
যে জাল ঝোলানো আছে ভোরের বিশ্বাসের মতো উজ্জ্বল।
ক্ষীণ আলোয় ধরা দেয় অসংখ্য মৃত মানুষের খোলস একের পর এক।

অসংখ্য ভীতু মানুষের মুখের মধ্যে হটাৎ ধোঁয়ার কুণ্ডলী - নিঃসঙ্গ চিতায় ধূমায়িত শিখা
আমার বৃদ্ধা মাকে ঢেকে দিয়ে যায়।
তাঁর শেষ ইচ্ছা ' স্বর্গের দ্বার প্রান্তে' এসে অগ্নিশিখা ঢেকে দিয়ে যাবে - নি: সঙ্গ বালুকারাসিতে অনিশ্চিত আলোর মতো ঘুরপাক খায়।।

## Harlem##
Written by langstone Hughes.( An American poet)

স্বপ্ন যদি বিলম্বিত হয় - 
তাহলে কি ঘটতে পারে?
তাহলে কি সব কিছু শুকনো হয়ে যাবে,
সূর্যের তাপে যেমন রসালো আঙ্গুর শুকিয়ে যায়?
অথবা যন্ত্রনায় কাতর হবে পচা - দুর্গন্ধ কালো মানুষের চামড়া?
তারপর সব ছুট?
পচা - দুর্গন্ধ মাংসের উপর
প্রলেপ দিয়ে চারিদিকে
মিষ্টির সিরাপ।
যখন তাদের ঘাড়ের উপর
বিস্তর বোঝা চাপিয়ে
ঘাম - রক্ত এক করে 
নুয়ে পড়বে দেহ- 
তখন কি ধংস লীলা শেষ হবে
না আরও পৈশাচিক অত্যাচার হবে?
স্বপ্ন কি সত্যিই বিলম্বিত হবে?

মনোজিত দাস/ মহিষাদল/ পূর্ব মেদিনীপুর।)
১৩/৩/২১.
Page:1 - 2
X