ভিডিও ,চিত্র , বই , পত্রিকা ও সাহিত্য খবর
মহাজীবন উপন্যাসের সারসংক্ষেপ--------------------------------
্
অপর্ণা গ্রামের গরীব অশিক্ষিত মেয়ে। বাবাকে দেখেনি, মা ও মারা গেছেন অতি অল্প বয়সে।
তারপর মামার বাড়ীতে কাজের মেয়ের মর্যাদায় মানুষ। কিন্তু একটা বিষয়ে সে সবার থেকে আলাদা। তা হল ঈশ্বরে বিশ্বাস ও আস্থা -যা সে পেয়েছে তার মায়ের কাছ থেকে। সে অন্তর্মূখী।
মনে প্রানে বিশ্বাস করে এই পৃথিবীতে যা কিছু ঘটছে তা তার প্রানের ঠাকুর ঈশ্বরেরই ইচ্ছেয়।
তাই বিয়ের আগে স্বামীর চরিত্র সম্পর্কে অনেক খারাপ কথা শুনলেও সে বিন্দুমাত্র বিচলিত হয় নি। যেখানে তার নিজস্ব করার কিছু নেই, সেখানে তার ভালো মন্দ সব কিছুই সে ছেড়ে দিয়েছে ঈশ্বরের উপর। আর অবধারিতভাবে তার পরবর্তী জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার উপর নেমে এসেছে ঈশ্বরের করুনা ও আশীর্বাদ। সাংসারিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাকে করে তুলেছে অনন্যা ও অপরাজেয়।
পরবর্তী সময়ে ঈশ্বরের আশীষ মাথায় নিয়ে
তীক্ষ্ন বুদ্ধিমত্তার সংগে সে একদিকে যেমন ধীরে ধীরে ফিরিয়ে এনেছে অস্বচ্ছ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া স্বামীকে - মনের আমুল পরিবর্তন ঘটিয়ে তার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে প্রকৃত মানবিক বোধের, অপরদিকে তেমনি মহিলা কল্যান সমিতির সাথে যুক্ত হয়ে সামাজিক
ও পারিবারিক ক্ষেত্রে মহিলা কল্যানের জন্য আত্মনিয়োগ করে নানাবিধ জনকল্যান কাজে সাফল্য অর্জন করেছে।
ঈশ্বরপ্রদত্ত এক অভাবনীয় ভাবনার বশবর্তী হয়ে সমাজকে অস্বচ্ছ রাজনীতির ঘেরাটোপ থেকে মুক্ত করতে তার উদ্যোগে দেশব্যাপী গড়ে উঠেছে জন চেতনা কেন্দ্র এবং প্রত্যেককে আধ্মাতিকতা
বোধে উদ্বুদ্ধ করতে সেখানে ব্যাবস্থা করা হয়েছে উপযুক্ত প্রশিক্ষনের। ঐকান্তিক চেষ্টায় অপর্ণা মানুষের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে পারস্পরিক বিশ্বাসও ভালোবাসা,সৎ চেতনা,সৎ ভাবনা এবং প্রত্যেক মানুষের মধ্যে যে ঈশ্বরের অধিষ্ঠান - এই বোধ ।
পরবর্তী সময়ে আপামর জনসাধারনের সাথে তাত্বিক,চিন্তাবিদ,নীতিবিদ, এমনকি তাবড় রাজনীতিবিদগন সকলেই সামিল হয়েছে তার এই অপ্রতিরোধ্য জনকল্যানমূখী ও মানবতামূখী জয়যাত্রায় । স্বর্গীয় সুষমা মন্ডিত সুখ ও শান্তির প্রত্যাশায় অপর্ণার সাথে সবাই এগিয়ে চলেছে এক বৃহত্তর মহাজীবনে উত্তরণের পথে ।
Page:1 - 2